সারের নাম |
সারের পরিমাণ (কেজি/বিঘা) |
|
|
মন্তব্য | |||
|
মোট পরিমাণ |
জমি তৈরর সময় প্রয়োগ (বেসাল) |
পার্শ্ব প্রয়োগ |
|
|
|
|
১ম (বপনের ২০-২৫ দিন পর) |
২য় (বপনের ৪০-৫০ দিন পর) |
৩য় (বপনের ৬০-৭০ দিন পর |
৪র্থ (বপনের ৭০-৮০ দিন পর) |
|
|||
ইউরিয়া |
২৫-৩০ |
২.৫-৩.৫ |
২.৫-৪.০ |
৭.৫-৯.০ |
৭.৫-৯.০ |
৫-৬ |
হাইব্রিড জাতের জন্য সার কিছু বেশি লাগবে। |
টিএসপি |
২৫-৩০ |
১০-১২ |
৮-৯ |
৮-৯ |
- |
- |
|
এমওপি |
৩৫-৪০ |
৩-৪ |
৫-৬ |
৯-১০ |
৯-১০ |
৪-৫ |
|
জিপসাম |
১৪-১৬ |
৪-৫ |
- |
৬-৭ |
৪-৫ |
- |
|
বোরণ |
২.৫-৩ |
১-১.৫ |
১ |
- |
০.৫০ |
- |
|
জিংক |
২.৫-৩ |
১-১.৫ |
১ |
- |
০.৫০ |
- |
|
ম্যাগনেশিয়াম সালফেট |
২.৫-৩ |
১-১.৫ |
১ |
- |
০.৫০ |
- |
|
গোবর/আবর্জনা |
৬০০-৮০০ |
৬০০-৮০০ |
- |
- |
|
|
|
চুন | ১০০-১৫০ |
বীজ বপনের ২০-২৫ দিন আগে |
অম্ল মাটির জন্য |
তুলার উপজাত
তুলা এমন একটি ফসল যার প্রতিটি অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। যেমনÑআঁশ থেকে সুতা, বীজ থেকে খৈল ও খাওয়ার তেল পাওয়া যায়। গাছ থেকে জ্বালানি, কাগজ হার্ডবোর্ড বানানো যায়। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য জমির উর্বরতা শক্তি বৃদ্ধি। যে জমিতে কোনো ফসল হয় না সেই জমিতে পর পর দুই মৌসুম তুলা চাষ করলে এর উর্বরতা শক্তি এমন বৃদ্ধি পায় তখন সর্ব প্রকার ফসল সহজেই ফলানো যায়।
শেষ কথা
বর্তমানে হাইব্রিড সীড প্রবর্তনের মাধ্যমে চাষিপর্যায়ে তুলা চাষের ব্যাপক সাড়া ফেলেছে যার মাধ্যমে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে ৬ থেকে ৭ লাখ বেল তুলা উৎপাদন করা সম্ভব হবে এবং এর মাধ্যমে সরকারের ৪-৫ হাজার কোটি টাকা বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হবে এবং এই অর্থ বাংলাদেশের অন্য খাতে উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। বর্তমানে সরকারের রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়নে এবং মধ্যম আয়ের উন্নত দেশ হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য খাদ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতার পাশাপাশি বস্ত্রের স্বয়ংসম্পূর্ণতা অত্যন্ত জরুরি এবং এর জন্য তুলা উন্নয়ন খাতে সরকার তথা বেসরকারি উদ্যোক্তাদের সুদৃষ্টি তথা সরাসরি অংশগ্রহণ অত্যন্ত জরুরি। ফিজিওলজিক্যালি তুলা লবণাক্ত ও খরা সহ্য ক্ষমতাসম্পন্ন ফসল। বরেন্দ্র এলাকায় ৫.০ লাখ হেক্টর এর বেশি জমি আছে। এ থেকে এক লাখ হেক্টর জমি তুলা চাষের আওতায় আনা সম্ভব। দেশের দক্ষিণ অঞ্চল অর্থাৎ খুলনা ও বরিশাল বিভাগের জেলাগুলোতে প্রাথমিক হিসাবে প্রায় ৫ হাজার হেক্টর জমিতে কম থেকে মাঝারি লবণাক্ত জমি আছে যার মধ্যে ২ হাজার হেক্টর জমি আগামী ৫ বছরের মধ্যে তুলা আবাদের আওতায় নিয়ে আসা যাবে। এসব এলাকার ফসল চাষের নিবিড়তা অনেক কম এবং শস্যবিন্যাস পতিত-পতিত-রোপা আমন। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের নদী অববাহিকায় আনুমানিক প্রায় ৪০ হাজার হেক্টর এ ধরনের অধিক জমি আছে যেখানে কম আয়ের/মূল্যের ফসল আবাদ হয় তন্মধ্যে প্রায় ২০ হাজার হেক্টর জমিতে সহজেই তুলা চাষ সম্প্রসারণ করা যাবে। তুলা চাষের মাধ্যমে মানুষের কর্মসংস্থান বৃদ্ধি, ছোট ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠিত করা তথা গ্রামীণ জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের মাধ্যমে সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠন সম্ভব।
ড. মো. গাজী গোলাম মর্তুজা*
* কর্মসূচি পরিচালক, নিবিড় তুলাচাষ কর্মসূচি, তুলা উন্নয়ন বোর্ড, খামারবাড়ি, ফার্মগেট, ঢাকা-১২১৫, Email: mortuza01@yahoo.com